"যেসব হারামকে অনেকেই তুচ্ছ মনে করে" বইয়ের পিছনের কভারের কথা:
হে পথিক ! যদি দ্বীনের পথ ধরেই তুমি সম্মুক্ষে অগ্রসর হতে চাও, বিস্বাসীদের কাতারে অটল- অবিচল থাকতে চাও , তাহলে তোমার জন্য যা ইচ্ছে তা - ই করার সুযোগ কিভাবে থাকে ? তোমাকে তো জীবনের প্রতিটি পদে ন্যায় - অন্যায়ের পার্থক্যের প্রতি লক্ষ্য রেখেই পথ চলতে হবে। দ্বীন তোমাকে যে কিছু করার বৈধতা দিয়েছে , তা- ই করতে হবে, আর যা কিছু করা থেকে বারণ করেছে, তা থেকে অবশ্যই বেঁচে থাকতে হবে। হারাম- হালালের ব্যবধান সম্পর্কে অবগত হতে হবে পরিপূর্ণভাবে। কিছুতেই তুমি আল্লাহর হালালকে হারাম ও তাঁর হারামকে হালাল মনে করো না, কেননা যে এমনটা করে সে মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনা। এমনিভাবে তুমি কোনো হারাম কাজকে তুচ্ছ মনে করো না। কারণ, যে ব্যক্তি হারাম কাজকে তুচ্ছ মনে করে, সে সহজেই তাতে লিপ্ত হয়ে পড়ে।
"যেসব হারামকে অনেকেই তুচ্ছ মনে করে" বইয়ের সম্পাদকের কথা:
আল্লাহ তাআলা তাওবাকারীদের ভালােবাসেন। বান্দা যদি কোনাে গুনাহ করে ফেলে, অতঃপর যদি সে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা। করে, আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করেন। যেহেতু আমরা নবী কিংবা রাসূল নই। গুনাহ থেকে একেবারে নিস্পাপ থাকা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই জীবন চলার পথে ইচ্ছা-অনিচ্ছায়। আমাদের কিছু ভুল-ত্রুটি হয়েই যায়, কিছু গুনাহ সংঘটিত হয়ে যায়। তাে আমাদের জন্য করণীয়। হচ্ছে- সর্বাত্মকভাবে গুনাহ’র পরিবেশ থেকে দূরে থাকা ও গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা। যদি কখনাে গুনাহ হয়ে যায়, সঙ্গে সঙ্গেই অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে তাওবা-ইস্তেগফার করা, ভবিষ্যতে গুনাহ না করার দৃঢ়সংকল্প করা। তাে | আল্লাহ যেসব বিষয়কে হারাম করেছেন অর্থাৎ যা। কিছু করা গুনাহ, যারা সেগুলােকে হারাম মনে। করে, গুনাহ হিসেবেই জানে; তাদের পক্ষেই সম্ভব হয়— কখনাে গুনাহ করে ফেললে তাওবা। করার। আর যারা হারাম কাজকে হারাম মনে করে। কিংবা কোনাে হারামকে তুচ্ছ ব্যাপার মনে। করে, তারা তাতে লিপ্ত হলে তাওবা করার। প্রয়ােজন মনে করে না। এ জন্যই বর্তমানে দেখা। যায় অনেক মুসলমানই অহরহ মারাত্মক হারাম। কাজ করে চলছে। তারা হারামকে তুচ্ছ মনে করে। তাতে জড়িয়ে পড়ছে। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে লেখক এমন কিছু মারাত্মক হারাম কাজের কথাই উল্লেখ । করেছেন। আশা করি, এ গ্রন্থখানা অধ্যয়ন করে নারী-পুরুষ সকল শ্রেণির মুসলমানরা উপকৃত হতে পারবে এবং তারা হারাম কাজসমূহ থেকে বেঁচে থাকতে সচেষ্ট হবে। ইন-শা-আল্লাহ!