01712345678
example@gmail.com
Track Your Order
Become an affiliate
মাওলানা আবদুর রাহীম হাযারী ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ জানুয়ারি কুমিল্লা জেলার মুরাদ নগর থানার অন্তর্গত 'গাঙের কোট' নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জীবন সুফি পরিবারে প্রতিপালিত হয়। কেননা তাঁর পিতা ছিলেন একজন সুফি লোক। মাতাও ছিলেন আবেদা। পিতা-মাতা ছাড়াও তাঁর অন্যান্য ভাই সবাই আলেম। তিনি নিজে যেসব প্রখ্যাত সুফি-সাধকদের সান্নিধ্যে জীবন কাটিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার প্রখ্যাত আলেম ও ওলিয়ে কামেল হজরত শাহসুফি মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরী (র.), ফরে বাঙাল হজরত শাহসুফি মাওলানা তাজুল ইসলাম (র.), ইসলামি আন্দোলনের অগ্রদূত হজরত শাহসুফি মাওলানা আতহার আলী (র.), ইসলামের একনিষ্ঠ সেবক হজরত শাহসুফি মাওলানা আবদুল ওহাব (পিরজি হুজুর-র.) প্রমুখ বুজুর্গানে দ্বীনের সাহচর্যে লেখক তাঁর জীবনের বেশ সময় অতিবাহিত করেছেন। তুলনামূলক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা লাভের উদ্দেশ্যেও লেখক বিভিন্ন ধর্মমতের সংশ্রবে এসেছেন। যেমন-হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, বাহায়ী, কাদিয়ানি, আহলে হাদিস, মুতাযিলা, শিয়া সম্প্রদায় এবং শরিয়ত-বিচ্যুত পির-ফকির, বাউল ও কবিয়ালদের সঙ্গে ও তিনি জ্ঞান' বিনিময় করেছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সমাহিত লব্ধযশা সুফি-দরবেশদের মাজারও তিনি পরিদর্শন করেছেন। প্রত্যেক মতালম্বীদের ধর্মমত নিয়ে সত্যের মাপকাঠিতে যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যা সত্য বলে তিনি প্রমাণ করতে পেরেছেন, তাঁর এই অভিজ্ঞতার আলোকেই তিনি 'সুফিতত্ত্বের আত্মকথা' নামক গ্রন্থখানা রচনা করেছেন। লেখক দেশের বিভিন্নস্থানে ইসলামের শিক্ষা-সংস্কৃতির সম্প্রসারণকল্পেও কাজ করেছেন। তিনি ভৈরব বন্দরে তাঁর নিজস্ব মহাজনি কারবার পরিচালনা করতেন। এই সময় তিনি 'পূর্বপাক কেন্দ্রীয় সমাজ উন্নয়ন সংঘ' নামে একটি সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করেন। সমাজ উন্নয়নমূলক ১৫টি প্রকল্পের সমন্বয় সাধনই ছিল এই সংগঠনটির মুখ্য উদ্দেশ্য। যার বিস্তারিত সংবাদ তদানীন্তন দৈনিক 'নাজাত' পত্রিকায় পরিবেশিত হয়েছিল।
Showing 1 to 1 of 1 books
Showing 1 to 1 of 1 books